বুদবুদীয় মনসূচি
তথ্যচিত্র ভেঙে যাচ্ছে
শহরের গায়ে আলতোভাবে স্পর্শ করলেই খুলে যায় শত শত মানুষের হেঁটে যাওয়ার শব্দ
জানালার পাশে রাখা আছে জ্বরে আক্রান্ত
এক একটা বাক্যবিনিময়
শ্লেষাত্মক বর্ণ দিয়ে সাজানো হচ্ছে বারান্দা
আলোর সংস্পর্শে এলে
ভেসে যায় শ্যাওলাযুক্ত মন
আর
মনসূচির গায়ে আটকে থাকে
নাভিতত্ত্ব ও কুয়াশামুক্ত ঠোঁটের
জ্যামিতিক নকশা
শিরোনামহীন
মুঠোফোনের বাগানে কথোপকথনের
উপর কাটাকুটি খেলা হলে
সিঁড়ি বেয়ে গড়িয়ে আসে পাতাবাহারের জল
আজকাল দিগন্ত বলতে বুঝি একটা নষ্ট রামধনুর শহর,
যেখানে ধমনির খাঁজে আটকে থাকে স্বপ্নভঙ্গের মোহনা
বালিঘড়ির শেষ ধোঁয়ায়
আসক্ত হচ্ছে সেই স্বপ্নের রক্তবিন্দু
তাই শিরোনাম ভাঙচুর করলে
শুধু বিরহের অস্তিত্ব পাওয়া যায়
মনপাতার বাক্স
আলো- বাতাসের সন্ধি করলে
এক একটা শুদ্ধ আত্মার পাখি উড়ে যায়,
অবশিষ্ট মৃত্যুর ছাই পড়ে থাকে
গাছেদের কোণায় কোণায়
সেখান থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসছে
চলন্ত শামুকের মতো ধীরে ধীরে
গড়ে ওঠা একটা পিচ্ছিল সম্পর্কের
কান্ড নুয়ে পড়েছে
আর কমলা রঙের সন্ধ্যে কাটতে কাটতে
মাটির নীচে তলিয়ে যাচ্ছে শস্যের পালক
আজকাল তাই ভাষার পাহাড়ে
শব্দেরা স্নান করলে
এক একটা বুদবুদ কবিতা হয়ে ওঠে...
অন্ধকারের খিদে
চাঁদ ভিজে গেলে
জোনাকিদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়
মাঠের শেষে
শস্যদানার পাশে শুয়ে আছে
কৃষকের ঘাম
হয়তো দূরবীন দিয়ে দেখতে গেলে
চোখে পড়ে বীজের আত্মকথা
তাই অসময়ে ‘খিদে’ শব্দের ভিতরে ঢুকতে গেলে
অন্ধকারের রান্নাঘর ফিরে ফিরে আসে
দৃশ্য পরবর্তী ইতিহাস
বিকেলের মানচিত্র ভাঙলে
একটা সৌরভীয় অপেক্ষার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আমার এক চিরন্তন অভ্যাস
শব্দচিত্রের ওপাশে
ইতিহাস খুলে যাচ্ছে অবিরত
আঙ্গুল ছাড়িয়ে নেওয়ায়
হাতের উপর কষ্টের বংশবৃদ্ধি হচ্ছে
তবুও কবিতার মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে
নদীতটের সম্মোহিত ঢেউ
চুমুকের পরবর্তী দৃশ্যে রূপকথার আড্ডা
চলতে থাকে
শুধু দশমিক পুড়তে থাকলে
সমাধানের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কার হয়...
দৃশ্য পরবর্তী ইতিহাস ও অন্যান্য কবিতা
সায়ন্তনী হোড়
সায়ন্তনী হোড়




কবিকে আগে পড়া হযনি৷ ভাল লাগলো৷ বিশেষত চাঁদ নিয়ে কবিতাটি
উত্তরমুছুন