.header-button .inner > span { font-size: 18px !important; } .header-button .inner i.fa { font-size: 40px !important; } .comment-form-message { background-color: #f4f4f4 !important; font-size: 14px !important; }

মনভ্রমণ কিংবা মনভজনে কবিতাবৃক্ষের সাথে আলাপ ও প্রলাপ

বিন্দু। কবি সৈয়দ সাখাওয়াৎ বিশেষ সংখ্যা

মনভ্রমণ কিংবা মনভজনে কবিতাবৃক্ষের সাথে আলাপ ও প্রলাপ
হিম ঋতব্রত


সতর্কতা : ফেলকরা ছাত্র বলে কোনো একাডেমিক দায় নেই বরং দায় নিয়ে বোরিং মন্তব্য পাচার করুক কবিতার অধ্যাপকেরা। গদ্য নিয়ে যাকে বলে আজুরে প্যাঁচাল— আমি তো সেই প্যাঁচালই পাড়ি। আরও স্পষ্ট করে বলা যায়— কবিতার ব্যাবচ্ছেদে বিশ্বাসী নই বলে কেবল মনের অই ভ্রান্ত কথাটুকুই আমার একমাত্র সম্বল। 

১. একটুকরো ভ্রমণের প্যাচাল

সাখওয়াৎ ভ্রমণ : তিনটি নদী পার হয়ে এসে লিখতে বসা। সেইসব নদীদের নাম— 'খণ্ড খণ্ড রাত্রির আলাপ', 'পাতাচূর্ণ উড়ে যাবার সাথে সাথে' ও 'নিহিলের বনে'। আর এই ভ্রমণে কুড়িয়ে পাওয়া নুড়িপাথরের মতো যা কিছু কোছা ভরে রাখলাম কিংবা মুড়ি-মুড়কির মতো ট্যামরে গুজে রাখলাম যে কবিতাদের— একে একে তাদেরই খুলে খুলে চিবোতে চিবোতে তোমাদের কাছে পৌঁছে দেবো আঙুলে হেঁটে চলা পায়েদের সেইসব গল্প।
নাহ! আদতে কবিতারা সকলেই নুড়িপাথর বা মুড়িমুড়কি নয়, কেউ কেউ ডানা মেলা জীবন্ত পাখি— যাদের কখনও পকেটে পোরা যায় না। আর এই কবিতাপাখিরা, যারা মধুর কিচির মিচির ও মাতাল সংগীতে মাতিয়ে রাখে মনের ভেতর ও বাহির। তোমারাও শোনো ওদের এই আনন্দ কোলাহল... 
আর কবি তো কবিরাজ— পাখিদের রোগ সারানো লোক। এ-ই যেমন পাখির আনন্দ, বেদনা গাইছেন গুনগুন...

'মৃত পাখির আর ডানা হারাবার ভয় নেই 
পড়ে আছে, পাশে পিঁপড়ের দল, পাশাপাশি
যায়, খণ্ড খণ্ড হয়ে যায় শরীর, পালকের
উজ্জ্বল রঙ পুরনো হয়, ঢেকে দ্যায় পতিত 
বালির পরশ। ব্যথা জাগানিয়া ভোরে কারো ঘুম 
ভাঙলে, পাখিটির আর কোনো প্রয়োজন নেই
শুকনো শস্যদানা, জমা পানির নীরব ধারা ।

জল শুকিয়ে গেলে, যতটুকু চিহ্ন থাকে তাও
কিছু আশাবাদ জাগিয়ে রাখে, জলের।কেবল 
মৃত পাখিটির নেই ডানা হারাবার ভয়। কোনো 
চিহ্ন নেই, ডানার নীরব রোদও পুড়ে গেছে, 
উড়ে উড়ে চলে গেছে উষ্ণতার সোনালি জ্বরে।
('পাখি ও রোদ ৩— খণ্ড খণ্ড রাত্রির আলাপ) 

বলো আর কিভাবে হুমকি দেবে পাখিকে বন্দী রাখার— ডানা কেটে ফেলার! আর কোনো ভয় নেই ওর, সকল বাঁধা-বিপত্তি  উপড়ে ও চলে গেছে— উড়ে গেছে অনন্তের পথে... ঠিক এই পঙতির মতো—
'পাখি উড়ে চলে গেলে শেষাবধি পায়ের ছাপেরা থাকে জলে'
(জীবন, বিষণ্ন রোদের ডানা—২ )

পাখি বৃক্ষের ডালে বসে বোবা বৃক্ষের ভাষা নিজের শব্দ ও সুরে রূপান্তর করে সেই বৃক্ষের কথা বলতে শুরু করে— ঠিক কবি যেমন অনুভব করে অপরের ব্যাথা, ঠিক যেমন অপরের কথা নিজের মুখে বলেন— 
'কত কত মাটি রক্তে ভিজে সিদ্ধ হলে, একটা শিশু 
বারুদের রক্ত ইতিহাস পেরিয়ে, বৃক্ষরূপ হবে?' 
(ফিলিস্তিন: আমার কন্যার মুখ— খণ্ড খণ্ড রাত্রির আলাপ)

এ-ই তো কবির দিন ও রাত্রির একান্ত অনুভব, যেখানে তার শব্দের খেলা স্বপ্ন ও শান্তির দিকে এগিয়ে যায়...

'ক্রমশ পৃথক পাহাড় হয়েছি, ক্রমশ পৃথক নদী 
কনিষ্ঠ আঙুল যেমন পৃথক, অনামিকা পাশে থেকে 
বিছানা-বালিশে মৃদু কোলাহল, আঙুলের প্রতিভাষা 
তবুও ফুটেছে বিষাদের সুর, আরো জল নিরবধি'
(ক্রমশ— মানুষের কোনো ঘর বাড়ি নাই)

নিজের জীবনী বলতে বলতে ক্রমশ বিষাদের যে জলে কবি ডুবে মরেছেন, সেই জলে আমরাও নামি ডুবতে; না কোনো ডুবুরি হয়ে, না কোনো সাঁতারু। কেবল ডুবতেই— ডোবাতেই আমরাও নামি এই টলটলে বিষন্ন জলে... আর জলের স্রোত বয়ে চলে— সমস্তকিছু ভাসিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে সারাক্ষণ... 

২. মাংসের মাতাল ঘ্রাণ 

এবার একটু লিবিডো লিবিডো খেলা খেলি। কী ক্ষুধা তোমার আমার— আমার তোমার! হায় তবুও যে কেন তুমি আমি আলাদা! আর ওদিকে জোড়ায় জোড়ায় ওরা ঢুকে যায় মাঠের ভেতর ঘাসে, বাগানের ভেতর আড়ালে, কাশবনে বাঁশবনে অথবা পৃথিবীর অজস্র সুন্দর ঝাড়ে ঝোপে! আর এসব ক্ষুধার্ত জীবনের তীব্র হাহাকার আমি তুমি আপনারা সবাই জেনেও, আমাদের একাকী শুক্রাণু বহনকারী ঈর্ষাকাতর বুকে, জিভে, গোপনাঙ্গে কী হাল হয়? কিভাবে ওদের এই নড়নের গড়নের দৃশ্যে ঝুকে সমস্ত জগৎ প্রতিনিয়ত শিহরণের হতাশায় গেলে ঢোক!

'ভূগোল পাঠের নিরানন্দ ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে এলে একদিন আমাদের 
জানা হয়ে যায় পৃথিবীর পুরো মানচিত্র।আমরা নিমেষেই এঁকে ফেলতে পারি 
মহাসাগর, মহাদেশ, গভীর-অগভীর নদী বা গভীর অরণ্য আর রত্নভান্ডার। 
অবশ্য ভূগোল পাঠ, কখনো আকর্ষণীয় হয়ে উঠতো, যখনই বালিকাদের ছাপা 
কামিজে মানচিত্র আঁকতে চাইতাম।বালিকাদের চোখ তখন গভীর, দীর্ঘতম নদী।
চুল এক গভীর অরণ্য। পাহাড়ের চিত্রও কোনোদিন এঁকে ফেলতাম।
তারপর আমাদের ভূগোল পাঠ নিরানন্দই থেকে যেত। তবে পৃথিবী কমলালেবুর 
মতো দু'পাশে চাপা। এ'কথা—শুনেই, আমাদের কেউ কেউ মুচকি হাসি নিয়ে মুখ 
ঢাকতো। আমরা তখন কমলালেবুর গোপন হলুদাভ রূপ আর কোয়ার সাদৃশ্যতা 
নিয়ে ঘুমাতে যেতাম ক্লাসরুম ফাঁকা করে। আমদের ভূগোল পাঠ আরো নিরানন্দ হয়ে
যেত,যখন কেউ কেউ বালিকার ছাপা জামায় মানচিত্র আঁকতে আঁকতে হাত ধরে চলে 
যেত, আমাদের মাঠের উপর বিস্তীর্ণ নদী এঁকে দিয়ে।'
(ভূগোল পাঠ— পাতাচূর্ণ উড়ে যাবার সাথে সাথে)

৩. যে বনে হৃদয় হারানো যায়

এই এক নির্জন অরণ্য— ঝরাপাতারা যেখানে আমার প্রেমিকা হয়ে যায়! আদতে আমার কেবল এই গহীন অরণ্য— এই 'নিহিলের বনে' হারিয়ে যাবার গল্পই বলার ছিলো। তবুও কেন যে প্রথমে কীসব এত আন্টিশান্টি প্যাঁচাল পেড়েছি! সঙ্গমের চরম মূহুর্তে যেমন স্পার্মদের আটকে রাখা ভীষণ কঠিন তেমনি এই কবিতারাও তাই, ওদের দূরন্ত গতি কোনো বাঁধা মানে নি, চলে এসেছে হাওয়ায় হাওয়ায় ঢেউয়ে ঢেউয়ে...
এমন অদ্ভুৎভাবে নিজেকে হারনো, এক বিশাল বনে— যেখানে আমাকে জড়িয়ে ধরে রাখে প্রেমের সব দারুণ বৃক্ষেরা—বৃক্ষদেবীরা, শান্তির সবুজেরা। সেখানে বেঁধেছি নিজের ঘর— শোনো ওগো সেই অরণ্যের বাইরের প্রেমিকারা, তোমাদের আমার সেই বন্য মনের গল্প পাঠ করাই—

এই নিহিলের বন আমাকে হেমন্ত দুপুরের মতো ডাকছে— ডেকেছে। আহা! একটি স্নিগ্ধ দুপুর, একটি নিশ্চুপ বালিকার ইশারার মতো করে বারবার তুমুল আকর্ষণে ডাকছে। সেই তীব্র আকাঙ্খার জলে স্নান করা নাগর আমি— ফিরাই কী করে এমন চিরসুন্দর অমোঘ আহবান। তা-ই তো এই পাগলপারা হয়ে প্রলাপ বকা, অনন্ত ছুটে চলা নিহিলের বনে—
'যে ব্যথা নেশার মতো ছড়িয়েছে রক্তে ও নিদ্ৰায়— 
মিশে গেছে নিশ্বাসে, শেষ গল্পে-আলোক রেখায় 
তাকে দেখি উৎপাতে— দুপুরের রোদে জায়মান 
যেন স্থির রেখা এক জলে নামা মহিষের স্নান 
আমাদের বাড়িপথে ধূলিধূসরিত সেই সন্ধ্যা
থেমেছিল—অসীমের টানে—প্রিয় জাগতিক ক্ষুধা 
দরিয়া নগরে তুমি ছড়িয়েছো গল্পের রেশম 
অতি বর্ষার জোয়ার কমে আসা উনুনের ওম 
সকল আঁধার শেষে তবু আসে শরীরের সাঁকো 
যে ব্যথা নেশার মতো তাকে কেন ভুল নামে ডাকো?'
(নিহিলের বনে ৩)

আহা! এই ডাক— এই ভুল নামে তো আমিও ডাকি সমস্ত ব্যাথা ও নেশার উৎস— আমার কাব্যদেবীকে, কাব্যদেবী— সপ্তমী দাশ। যেখানে 'স' রূপান্তরিত হয় 'শ' এ। আর এই নামের ভুল বানানে— ভুল ডাকে অন্ধ দেখতে পায় অদৃশ্যমান সমস্ত বিশ্ব, বধির শুনতে পায় অশরীরি সকল শব্দ, জড় পেয়ে যায় প্রাণ! 

কিংবা আমি, তুমি ও আপনারা যেখানে ডুবে যাই, মরে যাই, ক্ষয়ে যাই— সে-ই এক— এ-ই এক শরীর— 'শরীর সর্বস্ব তুমি'র মতো করে সমস্ত বিষ ও সুধা গিলে কোন অসীমে পৌঁছাই— পৌঁছাতে পারি নাকি! আর কিছুই জানিনা কেবল কবিতার কাছে আসা ছাড়া! 
এই যেমন কবির জানা, নিজস্ব কবিতারাও আমার কাছে কেমন জানিনা, জানিনা হয়ে ওঠে...

'জেনেছি—মানুষ প্রায় মরে যায় শরীরের কাছে...' (নিহিলের বনে ১১)

আবার আছে এক বিশাল ব্যাথা— অমর অজস্র অসীম এই ব্যাথা! এই বেদনা ও ব্যাথারা যখন কবিতার মতো কবিতা হয়ে ওঠে তখন তা আর একটি ভাষার থাকে না, এর কোনো নির্দিষ্ট দেশ-কাল থাকে না, থাকে কেবল অনুভূতি— স্বচ্ছ সুন্দর অনুভূতি আর অনুভূতি... 
'কে যেন ছড়িয়ে দেয় শোকাকূল মেঘেদের গান 
ধুয়ে যায় সমগীতে—জামা, জুতো যত পরিধান 
কুঁকড়ে ওঠে মরমে—অস্পষ্ট আলোয় তুমি কাঁদো 
প্রতি বৃষ্টিতে কুণ্ঠিত হও প্রবল জলের মতো 
কখনো বিনিদ্র রাতে পুড়ে পুড়ে থেমে গেলে বাতি 
এইসব নিষ্ফলতা ফিরে আসে ভুলের নিয়তি 
একদিন এ-শহর জেনেছিলো রূপকথা সব 
কবির হৃদয় জানে—শেলবেঁধা ব্যথার গৌরব'
(নিহিলের বনে ৪)

ওহে প্রনয় ভ্রমের মৌমাছিরা— কবির হৃদয়ের মতো তোমরাও জান কী কেমন হয় শেলবেঁধা ব্যাথার অহং! কোথায় কোথায় জমে হাহাকার! জমে জমে অনন্তকাল কেমন  নিভু নিভু জ্বলে! 
'তোমার মুখের দিকে সাদা পাখি উড়ছে এখনো 
তাকে ধরে রাখি—নিজ নাম থেকে উচ্চারিত শ্লোকে 
তুমি-ই অসুখ—প্রিয় জলাভূমি—ডাকছি তোমাকে ।' 
(নিহিলের বনে— ২৫)
তোমরা কেউ কী কখনো প্রিয়তমাকে ডেকেছ জলাভূমি বলে? ডাকতে পেরেছ এমন দারুণ করুণ ভাবে! যেই ডাকে এই গহীন বনে, পিরিতের অসুক, পিরিতের জোর বানে ভাসা শ্লোক ও শোকে সব জল হয়ে যায় স্থল আর সব স্থল জলে জ্বলজ্বল করে... 

নিহিলের বনের ভেতর হাঁটতে হাঁটতে দেখা যায় বৃক্ষের গাজন রস— সোম রসে মাতাল একজোড়া পাখি সারাদিন নিজেদের সাথে নিজেদের অথবা নিজেদের সাথে মদিরার সঙ্গম করে, অবাধ অশেষ তীব্র সঙ্গম...

'সেদিন জেনেছি বটে, ছায়াটি—এক দুঃখ নাম 
রতি শেষে ক্লান্তি আসে, শরীরে শুকিয়ে যায় ঘাম 
নিজের ছায়ার সাথে হেঁটে যাওয়া সন্ধেবেলায় 
পরস্পর কথা বলে—এই বিশ্রী করুণা ধারায়— 
যেনবা কোথাও নেই স্বস্তির প্রিয়তম আসর
যেখানে সাজাবো মেঘ অথবা পরস্পরের ঘর 
বিছানা নয়—মহুয়া ও গোলাপের ভীষণ গন্ধে
শিরায় মদিরা নেবো — মেঘ ও সিংহের সম্বন্ধে'
(নিহিলের বনে— ২৬)

এবার শূন্যের দিকে আসি অথবা অন্তের দিকে তোমাকে নিয়ে শূন্য হবার সময়ে এসে এই অরণ্যের ভেতর নির্জন নক্ষত্র হবার সময়ে আসি—
'এইদিন শেষ হলে ফিরে এসো জানালার পাশে 
রঙিন অক্ষর থেকে তুলে নিয়ো চাল ভাজা নুন 
প্রতিবেশী গান হবে—কথা হবে জলের গেলাসে— 
মিতব্যয়ী হাতগুলো রুয়ে যাবে আরেক ফাগুন 
অপ্রিয় ব্যথার কথা, মনকে বোঝাবো সমতালে 
পৃথিবী পালটে দিতে—জলাভূমি পাড়ি দিয়ে যাবো 
নিজের আগল থেকে বের হবো সব পিছু ফেলে 
নদীবুকে জীবনের আনন্দময়ী তৃষ্ণা মেটাবো 
সকল খুচরো কাজ, জীবনের সব কোলাহল 
তুলে নেবো আঙুলের প্রতি ভাঁজে নিহিলের বনে 
ঠোঁটে পুড়ে যাবে রোদ—শরীর শুষে নেওয়া জল 
অতীত মিলিয়ে যাবে নিহিলের বাস্তুসংস্থানে।'
(নিহিলের বনে ৩৪)

কবির যাত্রা তো হৃদের পথে ধারাবাহিক বিবর্তন ও ভাষার বয়ে চলা। জগৎ ঘরের আনাচে কানাচে মাকড়ের মতো কবিতার জাল বুনতে বুনতে— কাছিমের মতো ধীরস্থির স্পষ্ট গতিতে দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার বাতাসে গা ভাসানো। অথবা কোনো কিছুই না পাওয়ার আশায় নির্মোহ হয়ে শুন্যের দিকে, অসীমের দিকে বয়ে চলা।

তবুও এত কথা, ব্যাথা ও মুগ্ধতার ভেতরও কিছু কিছু কিন্তু থাকে; থাকতে হয়, সব সম্পুর্ন হলে চলে না! প্রেমে, জীবনে ও সংসারে অসম্পূর্ণতা না থাকলে, ব্যার্থতা না থাকলে সে জীবনের প্রেমের সংসার পুরোপুরি কবিতা হয়ে ওঠে না কোনোদিন!  আর কবিদের ডিকশিনারিরতে কখনোই সাকসেসফুল বলে কোনো শব্দ থাকে না। কবিদের কোথাও কোথাও অনেকখানি ব্যার্থও হতে হয়। যদিও কবি মানুষ এবং আর সকল মুদ্রার মতো তারও আছে এপিঠ ওপিঠ। কিন্তু এই মুদ্রার ভিন্ন দোষ বা গুণ হলো— একে টস করে কেউ জয়ী হতে পারে না, সবসময় ফলাফল ড্র। আর আমার  গন্তব্য সেই— ড্র এর দিকেই: নিহিলের বনের প্রিয়সব গাছেদের শেকড়, শেকড়ের শুন্যস্থান— শুন্যস্থান থেকে মহাশুন্য, অসীম আলো-আঁধারির গভীর অতলে ডুবে যাওয়া... 


মন্তব্য

নাম

অনুবাদ,31,আত্মজীবনী,25,আর্ট-গ্যালারী,1,আলোকচিত্র,1,ই-বুক,7,উৎপলকুমার বসু,23,কবিতা,298,কবিতায় কুড়িগ্রাম,7,কর্মকাণ্ড,17,কার্ল মার্ক্স,1,গল্প,54,ছড়া,1,ছোটগল্প,11,জার্নাল,4,জীবনী,6,দশকথা,24,পাণ্ডুলিপি,10,পুনঃপ্রকাশ,13,পোয়েটিক ফিকশন,1,প্রতিবাদ,1,প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা,4,প্রবন্ধ,150,বর্ষা সংখ্যা,1,বসন্ত,15,বিক্রয়বিভাগ,21,বিবিধ,2,বিবৃতি,1,বিশেষ,23,বুলেটিন,4,বৈশাখ,1,ভিডিও,1,মাসুমুল আলম,35,মুক্তগদ্য,36,মে দিবস,1,যুগপূর্তি,6,রিভিউ,5,লকডাউন,2,শাহেদ শাফায়েত,25,শিশুতোষ,1,সন্দীপ দত্ত,8,সম্পাদকীয়,16,সাক্ষাৎকার,21,সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ,18,সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ,55,সৈয়দ সাখাওয়াৎ,33,স্মৃতিকথা,14,হেমন্ত,1,
ltr
item
বিন্দু | লিটল ম্যাগাজিন: মনভ্রমণ কিংবা মনভজনে কবিতাবৃক্ষের সাথে আলাপ ও প্রলাপ
মনভ্রমণ কিংবা মনভজনে কবিতাবৃক্ষের সাথে আলাপ ও প্রলাপ
বিন্দু। কবি সৈয়দ সাখাওয়াৎ বিশেষ সংখ্যা। হিম ঋতব্রত
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEheyOT64ngnJLb5pvLSR7lYMg5pgGE_ospYZWez9ke4VdrpM2td86Q8zPAv2YLs8Tw0_fBvtmgaav7vqQVWlFqKhu6yKgSZ8JO2iVFh02td6CQpc12Y5k7NQtvbYr8axX0c877PJwATKtfLmQe8WpvU4lpf4r1Ex-uqxJQBeIasFTLPxVRtq4N1kspa/w320-h180/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%AE-%E0%A6%8B%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A7%88%E0%A7%9F%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%8E.jpg
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEheyOT64ngnJLb5pvLSR7lYMg5pgGE_ospYZWez9ke4VdrpM2td86Q8zPAv2YLs8Tw0_fBvtmgaav7vqQVWlFqKhu6yKgSZ8JO2iVFh02td6CQpc12Y5k7NQtvbYr8axX0c877PJwATKtfLmQe8WpvU4lpf4r1Ex-uqxJQBeIasFTLPxVRtq4N1kspa/s72-w320-c-h180/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%AE-%E0%A6%8B%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A7%88%E0%A7%9F%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%8E.jpg
বিন্দু | লিটল ম্যাগাজিন
https://www.bindumag.com/2022/09/heem-retabrata.html
https://www.bindumag.com/
https://www.bindumag.com/
https://www.bindumag.com/2022/09/heem-retabrata.html
true
121332834233322352
UTF-8
Loaded All Posts Not found any posts আরো Readmore উত্তর Cancel reply মুছুন By নী PAGES POSTS আরো এই লেখাগুলিও পড়ুন... বিষয় ARCHIVE SEARCH সব লেখা কোন রচনায় খুঁজে পাওয়া গেল না নীড় Sunday Monday Tuesday Wednesday Thursday Friday Saturday Sun Mon Tue Wed Thu Fri Sat January February March April May June July August September October November December Jan Feb Mar Apr May Jun Jul Aug Sep Oct Nov Dec just now 1 minute ago $$1$$ minutes ago 1 hour ago $$1$$ hours ago Yesterday $$1$$ days ago $$1$$ weeks ago more than 5 weeks ago Followers Follow THIS PREMIUM CONTENT IS LOCKED STEP 1: Share to a social network STEP 2: Click the link on your social network Copy All Code Select All Code All codes were copied to your clipboard Can not copy the codes / texts, please press [CTRL]+[C] (or CMD+C with Mac) to copy