.header-button .inner > span { font-size: 18px !important; } .header-button .inner i.fa { font-size: 40px !important; } .comment-form-message { background-color: #f4f4f4 !important; font-size: 14px !important; }

দাঁত নাই শিং নাই নখ নাই │ছোটগল্প│ সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ

সূর্যাস্ত ৬:২০ মিনিটে
এখন সময় তাই
আকাশে, পশ্চিম দিক অগ্নিময়, লালচে অন্ধকার এগিয়ে আসছে, ক্রমশঃ
সেলাই-ফোঁড়াইয়ে ধীরে-সুস্থে এঁটে দিচ্ছে আলোর মুখ ও বিস্তৃতি
সব উজ্জ্বলতা আড়াল করতে ছোঁপ-ছোঁপ অন্ধকারময়
ব্যান্ডেজ, তৎপরতায় অস্থির
মিনারে মুয়াজ্জিন,
তার আজানের স্বর মসৃণ, ক্রমে 
প্রকৃতিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ধ্বনি বিন্যাস

ঠং ঠঙা ঠং ঠঙঠঙাঠং–ঠং ঠং ঠং
ঠং –ঠং ঠং-ঠঙ
ঠংঠঙাঠং   ঠংঠঙাঠং—--কালিবাড়ির
ভেতরে পুরুত ঠাকুরের জ্বেলে দেয়া ধূপ-ধূনার গন্ধে আচ্ছন্নকারক 
পরিবেশ জোরালো এবং তৎসহ নিরন্তর যেনবা ঘণ্টা শব্দ

প্রকৃতিতে সময় বড় মুখোমুখি: এই
পবিত্রতার, এই ক্ষণটির
পবিত্রতা বিরত করে মফস্বলীয়
১ মাত্র বিনোদন, মিনিপর্দায় ভিডিও সহযোগে, যদি থাকে স্বচ্ছ্বলতা 
মিনি পর্দায় চলমান নাচ-গান, এ্যাকশন,ভায়োলেন্স—
 কি শ্রীদেবী কি মাধুরী ডিক্সিট কি মিনাক্ষী কি পুজা কি কি
কি কি
হয়তো ‘সাজন’ হয়তো ‘সদক্’ হয়তো ‘ইনসাফ কি দেবী'
হয়তো হয়তো হয়তো
বন্ধ হয়ে পড়ে, ঘরে ঘরে, সাময়িক
আজানের আওয়াজে
 পিয়া পিয়া তুমি আমার—'ক্যাসেট প্লেয়ার
যন্ত্রের বাজানো সুর গানও
থামে, তবুও ,
উন্মত্ত নীলছবি চলতেই থাকে,
রিপুর প্রাবল্যে
কড়ে আঙুল বিঘ্ন হয়, অনবরত;
তরুণের দল মুগ্ধ গ্রাসে লুফে 
নিতেই থাকে এইসব উন্মত্ত আয়োজন
পরিবেশ আচ্ছন্ন, আবিষ্ট ও স্বমুগ্ধ
এবং পরিপার্শ্ব বিলীন বেমালুম

আঁধার, লাগতে না লাগতেই পাড়ার যে দোকানটিতে 
পান- সিগ্রেট-সাবান-ডিম-মশারকয়েল-কনডম
এইসব টুকিটাকি বিক্রী

হ'ত, আগরবাতি জ্বলতো, সলতে উসকে
দেয়া হারিকেনের আলোয় কিছুটা উজ্জ্বলতা সেখানে ম্লানতর
দোকানির চেহারাও অস্পষ্ট
খানিকের মধ্যেই, অন্ধকার জমাট বাঁধার
পূর্বেই 
বাড়ি ফেরার তাড়নায় সে-ও
দোকানটি গুটিয়ে নিতে উদগ্রীব

'পেটবড়, না, শালা জান বড় 'পাগলা আতংকের চেহারা
দোকানির অবয়বের ওপর প্রতিষ্ঠিত

৪ দিক সুনসান, 
রাস্তায়-
আলো ও আঁধারি
তাই ভেদ করে বেরিয়ে এলো 
৩ জন মানুষ, উদ্দেশ্য মসজিদ
মিউনিসিপ্যালিটির টিমটিমে বাতিগুলোও জ্বলে ওঠে নি, কোন কোন জায়গায়
বাতিও নাই, শুধু 
ল্যাম্পপোস্ট-
নিঃসঙ্গ
২-১টা করে বিজলী বাতি জ্বলে
উঠছে বাড়িগুলিতে, এদিক-ওদিক
আলোয় লোক ৩ জন ১ই রকম
পায়ে স্যান্ডেল
মাথায় টুপি
হাটু ঢাকা পাঞ্জাবী
গোড়ালির ওপর তাদের পরিহিত লুঙ্গি
হাতে তসবীহ বা শূন্যতা 
তারা প্রাচীন, সমবয়স্ক
গতি মন্থর, স্তব্ধ রাস্তায় স্যান্ডেলের ঘষ্টানি
অগ্রসরমান ৩ জনার সম্মুখবর্তী নয় অন্যান্য
দিনের মত, খেলাধূলা শেষে
মাঠ ফিরতি ক্লান্ত বালকদল
এবং তাদের
হৈ উল্লাস
হয়তো বা আগেই ফিরে
চলে গেছে, যে যার বাড়ি
অথবা
মাঠে যায় নি-খেলা হয়নি
বয়স্ক লোক ৩ জন
পরস্পর ঘন, তাদের অনুচ্চ
কথোপকথনঃ

"আর বোধ হয় মসজিদে নামাজ পড়তে আসা যাবে না'
'আসলেই এ ভারী বিপদ দেখা গেল দেখছি'
"মাগরিবের এই ওয়াক্তে দেখেছেন,লোকজন নাই একদম '
'ফজরের নামাজের সময় তো বাপরে, কোন লোকই পাওয়া যাবেনা'
'দিনে তেমন ভয় নাই'
'মসজিদে নামাজই হবে না, লোকজন আসলে তো-তারপর নামাজ'
'শুনলাম, আবুলদের পাড়ায় নাকি ৩ জন আহত হইছে'
'কালকে বিকালে এ্যাটাক হইছে'
'কি যে হবে, সাবধানে থাইকেন,'
'আমাদের জায়গাটা এমনিতেই ফাঁকা থাকে, এখানে এ্যাটাক হইতে পারে'
 'আমাদের মত বুড়াদের আর বাচ্চাদের নিয়াই যত ভয়, তাগড়ারাতো বাধাদিতে পারবে' 
'জোয়ানদেরই তো দেখা যাচ্ছেনা এইবার’
১ চিলতে হাসি তৈরি
না হতেই মিলিয়মান এবং নেমে আসলো
স্তব্ধতা

মসজিদের সম্মুখে ম্লান 
আলো, ৪দিক আরও
ফ্যাকাসে, কেমন যেন ১ প্রকার শীতলতা পায়ের গতি সচলতায় ৩ জনা মসজিদে,
অনন্ত প্রার্থনার ভেতরে চলে
গেল, তথায় রয়েছে শান্তি ও কল্যাণ
নির্জনতার রাস্তাটিকে
মনে হয় যেন বড় অভাবী
ডানে-বামে ১টাই রাস্তা ২ দিকে
প্রসারিত, বামের রাস্তাটি ক্ৰমান্বয়ে সরু
হয়ে ভিন্ন ১টি পাড়ার গভীরে প্রবিষ্ট
কিন্তু ডানদিকে যে রাস্তাটি চলে গেছে, তা
প্ৰশস্থ হ'তে হ'তে শহরের
কেন্দ্র অভিমুখিন
ডান-বামদিকে যতদূর
দৃষ্টিসীমা, বাতিখুঁটিগুলো নিষ্প্রদীপ
অন্ধকার এখন ঘনীভূত 
পথের কুকুরগুলোও নাই

ছালওঠা -নেড়ি-বেওয়ারিশ কুত্তাগুলো
ঐগুলোর ঘেউ ঘেউ উৎপাত, জনসমক্ষে সংগম চেষ্টা কিছুই 
নাই, বিপদের গন্ধ প্রাণীরা আগেই
টের পায়, কুত্তার নাসিকা শক্তি প্রবল এমনিতেই

উপরে,
অনেক উঁচুতে ছাদের মত আকাশ
ঠিক বেগুনী রঙের, তখন কান্না পায়, ৪ পাশ হ'তে
কেমন ১ টানা কান্না সুর ছুঁয়ে দেয়
১ জন বৃদ্ধ উদভ্রান্তের
মত চক্কর খায় শুধু লোকটির মেয়ে-বিবাহিত সে, মরেছে 
কে যেন বললো, মেয়েটিকে হারামজাদা স্বামীটা পিটিয়ে-পিটিয়েই 
খুন করেছে, প্রায়ই অত্যাচার 
করতো, তথ্যদানকারী লোকটিকে আর দেখা যাচ্ছে না, মেয়েটির বাচ্চা ছিল,
১ বছরের শিশুটি তারস্বরে কাঁদছে তখন থেকে, মৃত 
মেয়েটি আবার গর্ভবতী ছিল, তলদেশ
রক্তে ভেসে গেছে, সারা দুনিয়া লাল হয়ে
যাবে
অনেক রক্ত
বৃদ্ধলোকটি খবর শুনে এসে মেয়ের লাশ নিয়ে পাগলের
মত ঘুরপাক খেতেই থাকে, শুধু ঘুরপাক, চুল তার এলোমেলো
কান্নার আওয়াজ ছাড়িয়ে
যাওয়ার পর, ডানদিকে শরীর দুলিয়ে রাস্তাটি চলে গেছে
কালি মন্দির পর্যন্ত, হঠাৎ-হঠাৎ
২/৪ টি রিক্শার এলোপাথাড়ি চলাচল
ঝং-ঝং করে
হুড়মুড় করে
ক্রিং ক্রিং বেল বাজিয়ে
যতদূর সম্ভব জোরালো গতি, অন্ধকার পথে
বেমক্কা ঘাড়ে এসে পড়বে, পড়তে চায়
রাস্তার ২ পাশে, পাশাপাশি
বাড়ি, লাগোয়া
সারিসারি সীমানা পাঁচিল, ১টি পাগল
দেখা যেত এখানে
নেই সে আজ, কোথায় উধাও
ডানদিক দিয়ে পায়ে হাঁটছে কোন লোক তো অমনি
বাজখাই গলায় বলতো
দয়া করে রাস্তার ডাইন সাইড দিয়ে হাঁটুন, পড়াশুনা
বাপে শেখায় নাই; বিপদ চিনেছে পাগল
আর পাড়ার কুকুরগুলোও,
মানুষের মত
বাড়িগুলোর পাঁচিল শীর্ষ ডিঙ্গিয়ে ঝাঁকড়া মাথাঅলা
গাছ: ভূতের মত
অন্ধকার জুগজুগ করছে অন্ধকারে;
ইতস্তত: বিক্ষিপ্ত
নিষ্কম্প

কালিমন্দিরে, ধূপ-ধুনা আছে, কালিমূর্তি আছে পুরোহিত আছে, তুলসীগাছ 
আছে কিন্তু নিষ্ক্রিয়তা
১ প্রকার স্থবিরতা————
উজ্জ্বলতার শুরু
নিওনবাতি এখানে জ্বলছে,রাস্তাটি
আলোকিত এবং 
ক্রমে; প্রশস্থতর;
দেখা যায়, গাড়ির হেডলাইট 
রিকসা বাতি, নিরুপায় মানুষের জড়োসড়ো হেঁটে চলা;
বিপনী বিতানটিতে অধিকাংশ
ঝাঁপ বন্ধ, বাইরের
নিওনসাইন উজ্জ্বল, আলোকিত

১ প্রান্ত হ'তে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত
ডাকবাংলার সদ্যচুনকাম 
করা দেয়ালে
উৎকীর্ণ দেয়াল লিখন: কিরণ হত্যার বিচার চাই
 ফারুক ভাইয়ের মুক্তি চাই
সোহেল ভাইয়ের হুলিয়া
নিতে হবে তুলিয়া

এই অংশে, রাস্তার
বাতিগুলোকেও করুণ দেখায়, দেয়ালেও
মলিন আলোর প্রক্ষেপ

ক্লিনিকের সামনে দাঁড়ানো
এম্বুলেন্স ভেতরে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ 
করে যায় ১টি বালিকা—কোন বাড়ির
গৃহপরিচারিকা, 
যে কি-না পেটের দায়ে কাজ
করতো স্কুলে যাওয়ার বয়সে, মাত্র ৫টাকা বাজারের হিসেবে গোলমাল হওয়াতে ফুটন্ত পানিতে শরীরের চামড়া খসে
পড়েছে যোনীর ভেতর আমূল
ঢুকে গেছে লোহার গরম খুন্তি, গৃহকর্ত্রীর
স্বামী ক্ষমতাবান, পুলিশ 
নিশ্চুপ, এত কিছুর পরও মহিলা তাই নিরাপদ, আজকেও
নিদ্রাকালে রাতপোশাকে গণ্ডদেশে পুরু
ভ্যানিশিং ক্রীম মাখবেন, আর
বালিকা ২/১ ফোঁটা শ্বাসের জন্য ফ্যানা
তুলবে–
কাকুতি মিনতি-
পার্ক ও শহীদ মিনার যেখানে, রেলিং
ঘেষে নষ্ট মেয়ে মানুষগুলো
নাই, আছে ফুল বিক্রেতা, তাদের
আয়োজনঃ চারা-টব-বীজ-ডালি-রজনীগন্ধার স্মিক সবই
বিপদগ্রস্ত, এমন যে বিপদের তাড়না
সব গুটিয়ে চলে যাওয়ার জন্য শেষ মুহূর্তের
ব্যস্ততা, হাতের গতি
দ্রুত আর অস্থিরতা খুবই, যে কয় ছিটেফোটা
পথচারী সময় কত জানতে চেয়েও উত্তর জোটে না, পথচারীদের সময়
নেই অত যে, উত্তর দেবে
শহর কেন্দ্র যানবাহন ও
মানুষসহ কিছুটা
হলেও অন্যান্য দিনের মত গতানুগতিক, কিছুটা স্বাভাবিক
নামজাদা রেস্তোঁরাটিতে-ধূমায়িত
চা কাবাব ভাজার গন্ধ
মোগলাই
ভেজিটেবল চপ ইত্যাদি সবই

চলছে টেবিলে টেবিলে, ধুমসে গান বাজে: দেখা হ্যায় পেহলিবার----ঢুঙঢুঙাঢুঙ…..
রাজধানীর পেপার বিকেলে
পৌঁছে, তবে অন্যদিনের মত ৮ পৃষ্ঠা ২ ভাগে
ভাগ হয়ে ঘুরছে না ১ টেবিল
থেকে অন্য টেবিলে, লোকজন অন্য খবরে ব্যস্ত, তবুও 
১ জন হাতে নেয় কাগজ, চোখ
বুলোয়, ধুৎ
বলে রেখে দেয়, নাহ্ আসেনি
খবরটি, ক্ষোভ :ওরা মফস্বল সংবাদটাও দেয় না, বড় বেশি শুধু রেপকেস কি
হত্যাকান্ড যেটা
ইন্টারেস্টিং কোন বাচ্চার পেট
ভেদ করে আরও ২টা হাত-পা গজালেই ইঞ্চি
খানেক খবর প্রকাশ
অথচ এত বড় ১টা ঘটনা - - - - লোকজন
জন্তুটি ধরা পড়ে নাই, ১জন ফিরে এল

থানার ভেতর হ'তে, ফুফা যে দারোগা সেই
সুবাদে ১ম প্রবেশাধিকার তার, বিশিষ্ট
বার্তাবাহক সে
তারস্বরে চেচিয়ে কথা বলে এবং
জনতাকে জন্তু দেখানো। 
শুরু হল, ঐ যে-ঐটি-ঐযে-ঐটি--আরে ঐতো
এই ভাস্কর প্রদর্শনী, ১ দল
 যায়, দর্শন করে, ফিরে আসে, দলের
প্রতিজন, পুনরায় নতুন-নতুন 
দল নিয়ে ভেতরে যায়
আবার সেই দল দেখে ফিরলে প্রতিজনের আর ১টি করে দল জুটে যায়, দল যেতেই থাকে, দেখতেই
থাকে, ফিরতেই আবারও
পুলিশ যুকফুক করে সিগ্রেট খায়, হুশহুশ করে ঘাম মোছে, জন্তু ধরার
পরিশ্রমই অন্যরকম, ছবি-টবি
তুলে নিয়ে গেছে পত্রিকাঅলারা, কাল ছাপা হবে, বেশ
খাসা মাখন দিয়ে
পাউরুটি খেতে খেতে ভোরে মানুষজন পড়বে, ছবি
দেখবে
জনতার কৌতূহল বেপরোয়া, থানায়
জনগণের কুণ্ডুলি, এরই মধ্যে সবচেয়ে

করিৎকর্মা হচ্ছে চানা-বুট- বাদাম - ঝালমুড়ি চা-ভাজাপোড়া-চটপটি-ফুচকা ইত্যাদি
বিক্রেতা
আইসক্রীমও চলছে বেশ, গরম
খুব, দম বেরিয়ে যায় প্রায়, বাতাস ছাড়ছে না ১ টুকুও, তার মধ্যেই
উত্তেজনা, কৌতূহল, ক ১জন রাস্তার পাশেই
বসে পড়ে, দেখাদেখি 
অনেকেই, বেশ জমায়েত
বিশাল সমাবেশ
মাইক নাই মঞ্চ নাই খালি গলায় বক্তা অনেকজন,
জন্তু দেখার উচ্ছ্বাস মিলিয়ে
যেতেই বাড়ে, বাড়তে থাকে কথাবার্তার তাপ চাপ, সন্দেহ ফুলিংগ, দেখা গেল
সংশয়

১মে ১ জন২জন৩জন১১ জন২১ জন

অনেকেরই, অনেকের ভেতর জন্তুটা—যেটাকে
বলা হচ্ছে জন্তু, সে-টা
জন্তু হিসেবে মোটেও সন্তোষজনক নয় বলে রায় তৈরি হয়, এ
কেমন জন্তু (উত্তর নাই), প্রতি ৫জনে ১ জন
করে সন্দেহাধীন
ধীরে, ১/৫ জন করে করে দল-বল 
ভারী হয়, হয় বিরুদ্ধ মতটি প্রবল, ওরা বলে:এটি জন্তু নয়, অন্যরা বলে: হ্যাঁ,না-জন্তু হ্যাঁ জন্তু
হ্যাঁ-না দ্বন্দ্ব-তুমুল
বাকযুদ্ধ

ফলে তর্কটা এই রকম--
বিষধর সাপ বেষ্টিত বন্দী হাত-পাঅলা শরীরটি না-কি
হাত-পাঅলা শরীরটিকে বজ্রবেষ্টিত বিষধর সাপ দেহ

যাবতীয় তর্কাতর্কি ইলাস্টিকের
মত বাড়তে বাড়তে
১ সময় ছিড়েও যায় কারণ: ক্লান্তি, মুখ
দিয়ে ফ্যানা তুলতে -তুলতে এখন ফ্যানাও শেষ, তলানিটাও আর অবশিষ্ট
নাই, সকলকে সচকিত
করে দিল থানার ঘড়ি ঢং ঢং ঢং ঢং ঢং ঢং ঢং ঢং ঢং ঢং ঢং ঢং ১ টানা
বেজে ওঠা সময় ঘোষণা, ক্রমে এইসব ভীড়-ভাড়াক্কা পাতলা হয়, হয় সব
স্তিমিত, যে-যার মত
ফিরে চলে নিজ-নিজ গৃহে উত্তেজনা তবুও ভেতরে

জন্তুটা কি ধরা পড়ে নাই ?
হ্যাঁ অথবা না, উত্তর ২ প্রকার--- 
সেই রাতেই, শহরে পরপর ২টি হত্যাকান্ড
খুন হওয়া এবং খুন
করা ১টি নিয়ত ব্যাপার, বহমান খেলা মাত্র এবং 
প্রক্রিয়া বিশেষ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের শরীরের রগ কাটা, গলায় 
ছুরি চালনা, মাত্র ২ হাত দূর হ'তে বুক ভেদ করা গুলির তপ্ত 
সীসা রিভলবারের সামনে পিতার মুখ সেলাই খুন, কন্যাদের 
ধর্ষণ, উপর্যুপরি
রক্ত জমাট বাঁধতে সময় লাগে ৫–১১ মিনিট, কিন্তু জমাট 
হওয়ার পূর্বেই আবার রক্তপাত, রক্ত
শুকায় না, বৃহৎশক্তি অস্ত্র উৎপাদন করে চলে, অস্ত্র চলে 
যায় তৃতীয় বিশ্বে, দেশে-দেশে পারমানবিক বোমার
 মওজুদ বাড়ছে অনাহারে অধিক হারে মানুষ শিশু
মরছে মিনিটে—মিনিটে
গাছ-পালা সবুজ সব কিছু সাফ হয়ে যায় অমানবিক 
মানুষ বিষক্রিয়া চালায়
বিষ শুধু বিষ
চতুর্দিকে

দাঁত নাই
শিং নাই
নখ নাই

সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ 

মন্তব্য

নাম

অনুবাদ,31,আত্মজীবনী,26,আর্ট-গ্যালারী,1,আলোকচিত্র,1,ই-বুক,7,উৎপলকুমার বসু,23,কবিতা,298,কবিতায় কুড়িগ্রাম,7,কর্মকাণ্ড,17,কার্ল মার্ক্স,1,গল্প,54,ছড়া,1,ছোটগল্প,11,জার্নাল,4,জীবনী,6,দশকথা,24,পাণ্ডুলিপি,10,পুনঃপ্রকাশ,13,পোয়েটিক ফিকশন,1,প্রতিবাদ,1,প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা,4,প্রবন্ধ,150,বর্ষা সংখ্যা,1,বসন্ত,15,বিক্রয়বিভাগ,21,বিবিধ,2,বিবৃতি,1,বিশেষ,23,বুলেটিন,4,বৈশাখ,1,ভিডিও,1,মাসুমুল আলম,35,মুক্তগদ্য,36,মে দিবস,1,যুগপূর্তি,6,রিভিউ,5,লকডাউন,2,শাহেদ শাফায়েত,25,শিশুতোষ,1,সন্দীপ দত্ত,8,সম্পাদকীয়,16,সাক্ষাৎকার,21,সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ,18,সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ,55,সৈয়দ সাখাওয়াৎ,33,স্মৃতিকথা,14,হেমন্ত,1,
ltr
item
বিন্দু | লিটল ম্যাগাজিন: দাঁত নাই শিং নাই নখ নাই │ছোটগল্প│ সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ
দাঁত নাই শিং নাই নখ নাই │ছোটগল্প│ সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiQ_SLPx8jtMMnOq8PGfHW9iOovZF4A35RxxmruUDS1YvWU-fBE9lMqJlVDUSqY-D2IQwblF4u8XiVziPfmbnW0jTqYviYVFbaqZWxpjaxh0axe4S0PuzuS6xH7aJZq-fz7dnqBsxpFJv2QsJTOogzvPKsv9KZ1mc94KA-V4sx2HeKvvQ7FrjGAbYY7M7Y/s16000/Syer%20Riazur%20Rashid%20bindumag.png
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiQ_SLPx8jtMMnOq8PGfHW9iOovZF4A35RxxmruUDS1YvWU-fBE9lMqJlVDUSqY-D2IQwblF4u8XiVziPfmbnW0jTqYviYVFbaqZWxpjaxh0axe4S0PuzuS6xH7aJZq-fz7dnqBsxpFJv2QsJTOogzvPKsv9KZ1mc94KA-V4sx2HeKvvQ7FrjGAbYY7M7Y/s72-c/Syer%20Riazur%20Rashid%20bindumag.png
বিন্দু | লিটল ম্যাগাজিন
https://www.bindumag.com/2023/11/blog-post.html
https://www.bindumag.com/
https://www.bindumag.com/
https://www.bindumag.com/2023/11/blog-post.html
true
121332834233322352
UTF-8
Loaded All Posts Not found any posts আরো Readmore উত্তর Cancel reply মুছুন By নী PAGES POSTS আরো এই লেখাগুলিও পড়ুন... বিষয় ARCHIVE SEARCH সব লেখা কোন রচনায় খুঁজে পাওয়া গেল না নীড় Sunday Monday Tuesday Wednesday Thursday Friday Saturday Sun Mon Tue Wed Thu Fri Sat January February March April May June July August September October November December Jan Feb Mar Apr May Jun Jul Aug Sep Oct Nov Dec just now 1 minute ago $$1$$ minutes ago 1 hour ago $$1$$ hours ago Yesterday $$1$$ days ago $$1$$ weeks ago more than 5 weeks ago Followers Follow THIS PREMIUM CONTENT IS LOCKED STEP 1: Share to a social network STEP 2: Click the link on your social network Copy All Code Select All Code All codes were copied to your clipboard Can not copy the codes / texts, please press [CTRL]+[C] (or CMD+C with Mac) to copy