প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষা খুব কঠিন। তবে ভাল প্রস্তুতি আমার জন্য অনেক কিছু সহজ করে দিয়েছিল। তারপরও এনাটমি পরীক্ষার আগের দিন সন্ধ্যানাগাদ ভিসেরা দেখতে গিয়ে দেখি একটা মাত্র টেস্টিস আছে। এটাকে এনাটমিক্যাল পজিশনে বসিয়ে কিছুতেই নিশ্চিত হতে পারছিলাম না, এটা ডানপাশের নাকি বাম পাশের। আর ভুল বললে তো ফেল নিশ্চিত। বন্ধুরা এদিক ওদিক ঘুরিয়ে অনেক দেখলো। কিন্তু সন্দিহান। অনেকক্ষণ ধরে এই গভীর চিন্তামগ্ন বন্ধুদের উদ্ধার করতে আমি টেস্টিসটা হাতে নিয়ে নাড়াতে নাড়াতে হঠাৎ আমার হাত থেকে উড়তে উড়তে অদৃশ্য হয়ে গেল জানালা গ’লে বাইরে। বন্ধুরা নিশ্চিন্ত হয়ে বাড়ি / হোস্টেল ফিরে গেল। আর আমার চিন্তা প্রসারিত হতে থাকে রাতভর। আমি অবশ্য পরীক্ষায় পেলাম হার্ট, যা ছিল আমার ঠোঁটস্থ। তাই নির্বিবাদে সেযাত্রা প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষায় পাশ করে যাই। প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষার আরেকটা স্মৃতি না বললেই নয়। আজীবন ভাল ছেলে টাইপ এবং আদর্শ শিক্ষকের ছেলে হওয়ার সুবাদে নকল কখনও করা হয়নি। এনাটমি লিখিত পরীক্ষার আগের রাতে ব্রেইন স্টেমের বিভিন্ন স্তরের ছবির কোনদিকে আরটারি আর কোনদিকে নার্ভ সব তালগোল যখন পাকিয়ে যাচ্ছিল তখন এক সিনিয়র ভাই আমাদের রুমে এসে বললেন, “এগুলো মুখস্ত করে জীবনেও আঁকা সম্ভব না। চোথা নিয়ে না গেলে নির্ঘাত ফেল করবি তোরা।” আমরা তো শুনে তাজ্জব! নকল করার রিস্ক নেবার মতো সাহসও আমার ছিল না। কিন্তু ওনার বক্তব্য ছিল “মেডিকেলে নকল না করলে পাশ অসম্ভব!” একজন সিনিয়র ভাই, তার ওপর তিনি এসএসসি এইচএসসিতে স্ট্যান্ড করা। তিনি বললেন, তিনি এ কারণেই ফেল করেছিলেন! আমি নারাজ হলেও আমার রুমমেট স্টাডি পার্টনারের তখন নার্ভাস ব্রেকডাউন অবস্থা। ও বললো, “আচ্ছা এঁকে নিয়ে যাই। না লাগলে তো ভাল, একান্ত বিপদে পড়লে কাজে লাগবে।” তার পীড়াপিড়িতে আমিও তিনটা ছবি নিজ হাতে কাগজে এঁকে নিলাম। পরেরদিন পরীক্ষার হলে বসার পর থেকে আমি এমনভাবে ঘামতে লাগলাম এবং এত অস্থির লাগছিল যে, দ্রুত বাথরুমে ঢুকে কাগজগুলো কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে তারপর হলে ঢুকলাম। এর পরে কিন্তু খুব শান্তির সাথে পরীক্ষা দিলাম এবং সেই ছবিও মুখস্থ আঁকতে সক্ষম হয়েছিলাম। পরীক্ষায় সেরা দশে না থাকলেও ভাল নম্বরও পেয়েছিলাম। কিন্তু রেজাল্ট বের হবার প্রতীক্ষাকালীন সময়টায় আমার মন পড়ালেখা থেকে আবার দূরে সরে যায়। ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে সন্ধ্যায় সিনেমা দেখতে যাই। আর ঘরে কবিতার বই নিয়ে মগ্ন হয়ে থাকি। মাঝেমধ্যে কিছু কিছু কবিতা লেখারও চেষ্টা চলে। এর মধ্যে একদিন ১৯৮৮ সালের জানুয়ারির শেষদিকে তখন থার্ড ইয়ারের ক্লাস কেবল শুরু হয়েছে, স্কুল বন্ধু আবু হেনা এসে হাজির। আমাকে বললো, আমার কবিতাগুলো একত্র করে একটা কবিতাপত্র বের করবে। আমি বললাম, ধুর! কি এমন লিখেছি তা আবার ছাপতে যাবো? কিন্তু তার উৎসাহে ভাটা পড়ে না। সে সময়ে আমি ছোট ছোট কিছু পদ লিখতাম, আবু হেনা সেসব থেকে বেশ কিছু বেছে নিল। আমি আবার তার ভেতর থেকে বাছাই করে কিছু লেখা মনোনয়ন দিলাম। তারপর চন্দনপুরার একটা লেটার প্রেসে তা ছাপাতে দিলাম। ওর মাথায় এলো একটা প্রচ্ছদ লাগবে। আর্ট কলেজে পড়ছে আমাদের স্কুলের সহপাঠী জয়। তাকে দিয়ে একটা ছবি আঁকানো হলো এবং তা থেকে প্রেস একটা ব্লক বানালো। ছাপাখানার এতসব কার্যকলাপ দেখে বেশ ঘাবড়েও গেলাম বৈকি। যাই হোক, আবুহেনার অদম্য উৎসাহে ফেব্রুয়ারির ১৮ কি ১৯ তারিখে নীল কাগজের একটি ভাঁজপত্রে কবিতাগুলো জয়ের প্রচ্ছদসহ ছাপা হয়ে গেল। একুশে ফেব্রুয়ারির ভোরে আমি এবং আবু হেনা গিয়ে দাঁড়ালাম মুসলিম হল প্রাঙ্গনে শহীদ মিনারের সামনে । সবাই সারি বেঁধে ফুল দিয়ে নেমে আসার সময় কেউ কেউ মুসলিম হলের দিকে আসছে এবং আমার মতো আরও বেশ ক’জন পাতলা লিটল ম্যাগাজিন হাতে দাঁড়িয়ে আছেন, কারও হাতে আমারই মতো ভাঁজপত্র। আগতদের অনেকেই পত্রিকাগুলো নেড়ে চেড়ে দেখে ফেরত দিয়ে চলে যাচ্ছেন। তবে কেউ কেউ গায়ে লেখা দাম দেখে মূল চুকিয়ে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আমার কবিতাপত্রের মূল্য ছিল মাত্র ১টাকা। তাই প্রায় সবাই ভবেশ উৎসাহের সাথেই কিনে নিচ্ছেন। কেউ তেমন ওজর করছেন না। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন কবি লেখক আমার সাথে পরিচিত হলেন নিজে থেকে এসে। সিনিয়র লেখকদের উৎসাহব্যঞ্জক আলাপ আমাকে বেশ উদ্দীপ্ত করলো। তাদের মধ্যে দুজন একসাথে এসে পরিচিত হলেন যাদের একজন কবি হাফিজ রশিদ খান এবং অপরজন গল্পকার ও শামা সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ। দুজনের নামই আমি আগে শুনেছিলাম । বিশেষত রাশেদ মাহমুদের শামা পত্রিকায় রশীদ আল ফারুকীর লেখা একটি প্রবন্ধের জন্য পত্রিকাটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল । আর কবি হাফিজ রশিদ খান সম্পর্কে সামান্য কিছু শুনেছিলাম যে তিনি বেশ ভাল লেখেন। তাঁরা দুজনেই একসাথে এসে আমার সাথে আলাপের ফাঁকে আমন্ত্রণ জানালেন যে তাঁরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় চকবাজারের সবুজ হোটেলে বসেন, আরও অনেকেই আসেন, আমিও যেন সুযোগ পেলে একবার যাই। তাঁরা আশ্বস্ত করলেন যে আমার ভাল লাগবে। আলাপ হলো কবি ওমর কায়সারের সাথে। আমরা যখন শৈশবে ফতেয়াবাদে ছোটমামাদের পিছনে পিছনে ছুটে শাপলা শালিকের আসর এবং ফতেয়াবাদ গণপাঠাগার করেছিলাম, তখন বিভিন্ন পত্রিকায় ওমর কায়সারের ছড়া কবিতা ইত্যাদি লেখার সাথে আমার পরিচয় ঘটেছিল। তিনি আমন্ত্রণ জানালেন ফুলকিতে। জানা গেল, প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের প্রায় সব কবি এখানে একত্রিত হয়ে নতুন লেখা কবিতা পাঠ করেন এবং অন্যরা তার ওপর আলোচনা করেন। আমি নতুন কবিতা কর্মী হিসেবে সকলের প্রশ্রয় পেয়ে খুবই আনন্দিত ও উৎসাহিত বোধ করি । অন্য যাদের সাথে পরিচয় হলো তাদের মধ্যে অনেককেই আমি এর আগে কথাকলি বইদোকানের সামনে দেখেছি। কিন্ত আমি আগে চিনতে পারতাম না। পরে যখন আমার কিছু কবিতাপত্র কথাকলিতে বিক্রির জন্য দিতে গেলাম, দেখি কথাকলিকে ঘিরে কবিদের সান্ধ্য আড্ডা জমজমাট, যার মধ্যে বেশ কয়েকজনকে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সেদিন দেখেছিলাম। তাকিয়ে দেখি চট্টগ্রাম কলেজের সহপাঠী সুদীপ্ত দেবও সেখানে হাজির । সুদীপ্ত ফিজিক্সে অনার্স কোর্সে পড়াশোনা করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সুদীপ্তকে কলেজ জীবনে কখনও লেখালেখি করতে দেখিনি। সুদীপ্ত আমাকে ডেকে তার সম্পাদিত লিটল ম্যাগাজিন “ব্যতিক্রম” দেখালো। আর পরিচয় করিয়ে দিলো হোসাইন কবিরের সাথে । হোসাইন কবির আমার অগ্রজ, পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশনের ছাত্র। খুবই আগ্রহের সাথে বাড়িয়ে দিলেন হাত। হোসাইন কবির বেশ বাকপটু মানুষ, স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কথাবার্তা বললেন, যা আমার ভাল লাগলো। সুদীপ্ত উপহার দিল তার পত্রিকার কপি। তারপর আমন্ত্রণ জানালো তাদের সাথে বোসের আড্ডায় যোগ দিতে। বোসের আড্ডা মানে বোস ব্রাদার্স নামের বিখ্যাত রেস্টুরেন্টের একটি খুপরিতে প্রতি শুক্রবারের সন্ধ্যায় আমাদের সমসাময়িক তরুণ লেখক ও সংস্কৃতি কর্মীরা সমবেত হওয়ার চেষ্টা করছে সামান্য কিছুদিন আগে থেকে। আমিও তাদের আড্ডায় গেলে তারা খুব খুশি হবে, এইসব বললো সুদীপ্ত এবং হোসাইন কবির। তাদের আগ্রহে আমারও আকাঙ্ক্ষা প্রবল হয়ে ওঠে যেদিন শুক্রবার এলো।
যে সময়ের কথা বলছি, তখন আমার নিত্য রোগের কাল। আশৈশব আমি যে দুটি সমস্যার ভেতর দিয়ে পার করেছি তা হলো ডায়ারিয়া-ডিসেন্ট্রি জটিলতা এবং ভয়ংকর বিকট শব্দে পৃথিবী কাঁপিয়ে দেওয়া বিরক্তিকর কাশির দমক। দুটি রোগই তখন প্রায় পাল্টাপাল্টি করে আমাকে নিয়ত কাবু করে রাখছিল। তাই সবসময় সাম্যবাদের চেতনায় সিক্ত কবিতা, অপ্টিমিস্ট কবিতা লিখলেও সে সময়ের শারীরিক মানসিক অবস্থা হেতু একটি পেসিমিস্ট কবিতা লিখেছিলাম। কবিতার নাম ছিল “শবদেহ”, যা শুরু হয়েছিল “শবদেহ হয়ে যাই আমি” বাক্য দিয়ে। কবিতাটি আমি পরবর্তীতে আর গ্রন্থিত করিনি এবং অতিযত্নে যে আলমিরার গোপন ড্রয়ারে সেই কবিতা সহ আমার আশৈশব লেখা সব অগ্রন্থিত কবিতা এবং গদ্য সহ কবিলেখকদের বিভিন্ন পত্রাদি সংরক্ষণ করেছিলাম, তা উইপোকার ভোগে গিয়েছিল। সেটা অবশ্য অন্য গল্প । বরং প্রসঙ্গে ফিরে আসি। বোস ব্রাদার্স নগরীর একটি প্রাচীন রেস্তোরাঁ ও মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। এখানে অতীতে আড্ডা জমিয়েছিলেন কবি আল মাহমুদ, কথাসাহিত্যিক সুচরিত চৌধুরী এবং আরও অনেকে। আমি চন্দনপুরার বাসা থেকে মাগরিবের পরপরই রওনা দিয়ে আন্দরকিল্লা ও কাটাপাহাড় পেরিয়ে নন্দনকাননে অবস্থিত বোস ব্রাদার্সে পৌঁছে যাই । বোসব্রাদার্সের অবস্থানটা এত চমৎকার যে মনে হয় মোড়টাই তৈরি হয়েছে বোসব্রাদার্সে আসার জন্য। চৌরাস্তার মোড়ে পেট বের করে দাঁড়িয়ে আছে। সামনের বড় ঘরটিতে হ
বেশ কিছু চেয়ার টেবিল পাতা তে। কাস্টমার গমগম করছে। একপাশে কাচঘেরা দেওয়াল আলমিরার মধ্যে থরে থরে সাজানো মিষ্টান্ন, পরটা, দই এবং নিমকি দেখা যাচ্ছে । বাঁপাশে এবং পেছনে ডানে আলাদা কক্ষ রয়েছে দুটি। বাঁপাশের কক্ষের দিক তাকিয়ে টের পাই, এখানে কনে দেখাদেখি চলছে। অগত্যা ডানে পেছনের কক্ষের দিকে এগিয়ে গেলাম। দেখি এখানে দুটি টেবিল রয়েছে। শেষ মাথায় জানালার ধারের টেবিলে জটলা। আর প্রথম টেবিলের চেয়ারগুলো পরের টেবিলে গিয়ে জড়াজড়ি করে আছে। ততক্ষণে আসর জমজমাট । চায়ের কাপ অনেকগুলোই দেখলাম অর্ধসমাপ্ত । সবার স্বরকে ছাপিয়ে হোসাইন কবিরের কন্ঠ বেশ জোরালো এবং উচ্চকিত শোনা যাচ্ছে । আমি ধীরে ধীরে তাদের দিকে এগিয়ে যাই। আমাকে দেখে হৈহৈ করে উঠলেন বন্ধু সুদীপ্ত দেব এবং হোসাইন কবির। সুদীপ্ত আমাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। যতদূর মনে পড়ে সেই প্রথম দিনটায় সেখানে এই দুজন ছাড়া অন্যদের মধ্যে ছিলেন হাসান ভাই, ইউসুফ রেজা, সালাউদ্দিন মো. মারুফ, মুহম্মদ আলী শাহ, দেবাশীষ রায়, মইনুল ইসলাম খান সাজু বিশ্বজিত চক্রবর্তী, শ্যামাপ্রসাদ চক্রবর্তীসহ আরও দুয়েকজন, যাদের নাম এ মুহূর্তে আর মনে করতে পারছি না। আমি যখন পৌঁছলাম, তখন সম্ভবত হোসাইন কবির তাঁর কবিতা শুনিয়ে ফেলেছেন। অন্যরা তার ওপর আলোচনা করছেন। কবিতা সম্পর্কে কবিতার বুনন সম্পর্কে আমি আজীবন বইপত্র ও পত্রিকা পড়ে জেনেছি। এই প্রথম কবিতার আলোচনা সমালোচনা স্বচক্ষে দেখলাম এবং বুঝতে চেষ্টা করলাম যে আলোচনা কিভাবে করে। আবার দুয়েকজনের সমালোচনার তীর্যক ভাষায় কিছুটা বিচলিত ও দুশ্চিন্তা বোধ করতে লাগলাম, আমার কবিতা নিয়ে এরা না জানি কি বলে! একসময় যখন আমার কবিতা পাঠের পালা এলো, পকেট থেকে বের করলাম ভাঁজ করা পৃষ্ঠায় লেখা কবিতা। যখন আমি উচ্চারণ করলাম “শবদেহ হয়ে যাই আমি”। সাথে সাথে সবাই চুপচাপ হয়ে গেল এবং শুনলো নীরবে। এখন মনে নেই, সম্ভবত বিশ-বাইশ লাইনের কবিতাটা টানা পড়ে যখন থামলাম, দেখি সবাই বেশ বিষণ্ন, স্তব্ধ এবং বিমূঢ়। প্রথমেই কথা বলে উঠল মারুফ। মারুফ ইন্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র, ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী এবং গল্পকার। সে বললো, একজন এমন তরুণ, মেধাবী, মেডিকেল কলেজ পড়ে, তার কাছ থেকে কেন এমন হতাশা এবং মৃত্যুগন্ধী কবিতা আসবে? তার এই সমালোচনার জবাবে সেদিন সম্ভবত শারীরিক অসুস্থতাসহ নানাবিধ যুক্তি আমি দেখিয়েছিলাম, কিন্তু আমার ভেতরের আমি যেমন তা মানতে পারছিলাম না, মারুফও সেসব মানেনি। তাই পরবর্তীতে অনেক দিন আমাকে এই প্রশ্ন বারবার ব্যতিব্যস্ত করেছে এবং ক্রমাগত জীবনবোধ ও জীবনবাদিতার দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। কবিতাটিও এই কারণে আমি গ্রন্থিত করিনি এবং আলমিরার এমন এক দেরাজে রেখেছিলাম যার মধ্যে আশৈশব লেখা সব ছাইপাঁশ জমা ছিল। অনেক দিন পরে একদিন এই কবিতার কথা মনে পড়তে সেই দেরাজ খুলে দেখি, উইপোকার দারুণ হস্তক্ষেপে সব কাগজপত্র মণ্ড হয়ে গিয়েছে, জমিয়ে রাখা সব লেখাও পণ্ড হয়ে গিয়েছে ।
১৪ এপ্রিল ২০২৫, চট্টগ্রাম
মন্তব্য